আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করল উ. কোরিয়া
আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। শনিবার উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন ওয়াকার্স পাটির ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে কনর্সাট ও উৎসবে পর সামরিক মহড়ায় এটি প্রদর্শন করা হয়।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, বিশাল গাড়িতে করে আনা ক্ষেপণাস্ত্রটি বাহিনীতে যুক্ত হলে এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠকের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র প্রদর্শন করল।
সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে কিম জং উন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখব।’
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যহত হওয়ার জন্য উন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, ঘূর্ণিঝড় ও করোনাভাইরাসকে দায়ী করেছেন।
জনগণের আস্থা রক্ষায় সফল না হাওয়ায় তিনি লজ্জিত বলেও জানান কিম।
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমি লজ্জিত যে আপনাদের অগাধ আস্থার প্রতিদান আমি কখনোই দিতে পারিনি। আমাদের জনগণকে কষ্টকর জীবনযাপন থেকে বের করে আনতে আমার প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা যথেষ্ঠ নয়।’
সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য আয়োজিত বিশাল ওই সামরিক কুচকাওয়াজে কিম বলেছেন, তিনি কৃতজ্ঞ যে উত্তর কোরিয়ায় ‘এক জন ব্যক্তিও’ করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
কয়েক মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বের হওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
চীনে গত ডিসেম্বরে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার জানুয়ারিতে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং বরাবরই দাবি করে আসছে, উত্তর কোরিয়ায় করোনায় কেউ আক্রান্ত হয়নি।
তবে সম্প্রতি দেশটির সরকার সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে। বরং সংবাদমাধ্যমগুলোতে এখন করোনা প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছে।