নিজের অজান্তে কি জীবাণু হাতে মাখছেন
করোনাকালীন সময় থেকেই জীবাণু নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। তার জন্যে প্রায় অনেকের কাছেই স্যানিটাইজার চলে এসেছে। কিন্তু মূলত কিছু সাধারণ জায়গায় জীবাণু সংক্রমণের হার যে অনেক বেশি তা আমাদের অগোচরেই থেকে যায়।
আমরা অনেকেই অজ্ঞানতাবশত বিষয়গুলো খেয়াল করিনা বা গুরুত্ব দেইনা। এমন কয়েকটি জায়গা নিয়েই আজকের এই আলোচনা।
রেস্টুরেন্টে গিয়েই খাবার মেনুর দিকে একবার চোখ না বুলোলেই নয়৷ কিন্তু খাবার মেনুতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যেকোনো টয়লেট সিট থেকেও একশো গুণ বেশি জীবাণু খাবার মেনুতে থাকে।
দরজা খোলার সময় নব কিংবা কলিং বেলে হাত পড়বেই৷ আর এখানেই প্রচুর জীবাণুর বাস। আমরা এই জায়গাগুলোকে খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করিনা। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই দুটোর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নব এবং কলিং বেল সময়মতো পরিষ্কার করা উচিত।
শপিং কার্ট
আজকাল গ্রোসারি স্টোর কিংবা শপিং মলে কার্ট অথবা ঝুড়ি বহনের সুযোগ থাকে। বহু মানুষ ব্যবহার করে বলে সেখানে জীবাণু থাকতে পারে। তাই শপিং কার্টের হ্যান্ডলে সরাসরি হাত না দিয়ে গ্লাভস ব্যবহার করুন।
লিফটের বাটন বা সিড়ির রেলিং
লিফট চড়ার সময় একবারই তো আঙুল ছোঁয়াতে হয়। সিড়ির রেলিং করোনার সময়ে অনেকেই ছুঁয়ে দেখেন নি। কিন্তু লিফটের বাটনের ব্যাপারে সতর্কতার কথা? সেটাও ভাবা উচিত।
কার্ড পেমেন্ট বা বুথ
বুথে টাকা উত্তোলন বা কার্ড পেমেন্টের সময় আপনাকে পিন দিতে হবেই। তখন বাটনে জীবাণু থাকে প্রচুর। যা আপনার দেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে৷
ময়লা টাকা
ময়লা, তেল চিটচিটে নোট জীবাণুর প্রিয় বাসভূমি। লেনদেনের ক্ষেত্রে তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
জিম
জিমে ওয়ার্ক আউটের সময়েও জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত ওয়ার্ক আউটে ঘাম ঝরানোর সাথে সাথে জীবাণু বাড়ানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই জিম শেষে একটা গোসল সেড়ে নিন।