ইউরোপ থেকে আসা অধিকাংশ ফ্লাইটের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ
ইউরোপ থেকে আসা অধিকাংশ ফ্লাইটের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা গত মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে । প্রাণ নাশক করোনাভাইরাসের সঙক্রমণ রোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত বুধবার ওভাল অফিস থেকে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঘোষণা করেন।এক মাস ব্যাপী এই নিষেধাজ্ঞায় ব্রিটেন ও আইয়ারল্যান্ড ছাড়া ইউরোপের ২৬টি দেশের অধিকাংশ বিদেশি যাত্রীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ঐ ঘোষণার সময়ে আমেরিকান এবং আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা, যারা কিনাট্রাম্পের ঐ ঘোষণার সময়ে বিদেশে ছিলেন, তাঁরা গোড়াতে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না যে শুক্রবারের পর থেকে তাদেরকে দেশে ফিরে আসতে দেয়া হবে কিনা।
তাঁদেরকে এই নিষেধোজ্ঞার আ্ওতায় আনা হয়নি তবে প্রেসিডেন্টের ঐ ভাষণে তাৎক্ষণিক ভাবে এটা পরিস্কার ছিল না। অনেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবার আগেই দেশে ফিরে আসার ফ্লাইট বুক করতে হিমসিম খাচ্ছিলেন।
ট্রাম্প কোন ইউরোপীয় কর্মকর্তার সঙ্গে পরমার্শ না করেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ,” Ursula von der Leyen এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট Charles Michel, এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র যে কোন রকম সলাপরামর্শ না করেই এক তরফা ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেই বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমর্থন করে না। তাঁরা বলেন করোনা ভাইরাস হচ্ছে বিশ্বব্যাপী এক সংকট যা কোন বিশেষ মহাদেশের মধ্যে সীমিত নয় এবং এর মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা এক তরফা কোন সিদ্ধান্ত নয়।
ইউরোপ থেকে ফিরে আসা সব আমেরিকানকে ১৪ দিনের জন্য স্বেচ্ছা কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হবে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যায়। VOA Bangla