খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

বাংলাদেশে করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শর্ত অনুসারে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে যেতে পারবেন। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রাখা হলেও চিকিৎসার জন্য পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের তরফে সম্প্রতি আবেদন করা হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম। দলের মুখপাত্র রিজভী আহমেদ জানিয়েছেন, করোনা সতর্কতার কারণে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির পর কোন ধরণের লোক সমাগম করা হবে না।
ওদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সিভিল প্রশাসনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী সারা দেশে টহল শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে ট্রেন-লঞ্চসহ সব গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অভ্যন্তরীন রুটের সব ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটে শুধুমাত্র চীন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট চালু রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ২৯শে মার্চ থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার। দেশে ফেরা প্রবাসীদের জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সরকারের রোগততত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর জানিয়েছে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯-এ, মারা গেছেন ৪ জন। VOAbangla