এবার ইসরাইলের সঙ্গে হাত মেলাল আরেক আরব দেশ
এবার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আরেক আরব রাষ্ট্র জর্ডান। ইসরাইলি বিমান চলাচলের জন্য সৌদি আরবের পর জর্ডান নিজ দেশের আকাশসীমা মুক্ত করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইল ও জর্ডানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে উভয় দেশের বাণিজ্যিক বিমান উভয়ের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে। ইসরাইলি ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক।
এই চুক্তির ফলে আরব বিশ্বের আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরাইলি বিমান ইউরোপ ও উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে অতিস্বল্প সময়ে ভ্রমণ করতে পারবে। অর্থাৎ এখন থেকে আর এসব দেশ যেতে হলে ইসরাইলি বিমানকে অনেক পথ ঘুরতে হবে না।
খবরে বলা হয়, উভয় দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিটি কয়েক বছরের জন্য করা হয়েছে।
চুক্তির ফলে ইসরাইলের জ্বালানি খরচ অনেক কমে যাবে ফলে বিমান ভাড়াও অনেক কমানো হবে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি করে ইসরাইল। আর এতে মধ্যস্থতা করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা ও সিনিয়র উপদেষ্টা কুশনারের মধ্যাস্থতায় বাহরাইনকে এ চুক্তির আওতায় আনা হয়। পরে এসব দেশে বিমান চলাচলের জন্য সৌদি আরবের আকাশ ব্যবহারের অনুমতি পায় ইসরাইল।
যদিও এ চুক্তিতে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব বিশ্বের। আমিরাতের এ চুক্তিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আরব বিশ্বের পিঠে ছুরি মারার সঙ্গে তুলনা করেছে।
এদিকে প্রথম থেকেই এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। গত মাসেই ফিলিস্তিনি ইস্যু নিয়ে হামাস নেতারা বৈঠক করেছেন এরদোগানের সঙ্গে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিন ইস্যুতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।
অন্যদিকে, চুক্তি বাস্তবায়নের পরই চলতি সপ্তাহের শুরুতে নতুন করে পশ্চিম তীরে অবৈধ স্থাপনা তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তবে তার এমন অপকর্মের প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্ক।