মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবার কাকে চায় চীন-রাশিয়া?

এবারও মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে আনতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে রাশিয়া।বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা এমনটাই মনে করছেন।

বিবিসি জানায়, গত মাসে রিপাবলিকান দল নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট এই ধারণাকে সমর্থন জানিয়েছে, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখতে চায়।

এর অর্থ হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার দলের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার তুলনামূলক সহজ। গেল বার তারা হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে কাজ করেছিল। এবার হিলারিকে প্রতিস্থাপন করেছেন জো

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টারইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের (এনসিএসসি) প্রধান উইলিয়াম ইভানিনা বিবিসিকে বলেন, ‘সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চরিত্রে কালিমা লেপনের কিছু চেষ্টা রাশিয়া করেছে।’

মার্কিন নির্বাচনের সঙ্গে রাশিয়ার নামটি এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে যে, নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গটি এলেই মস্কোর প্রসঙ্গটি এসে যায়। কিন্তু এবার চীনের দিক থেকেই ভয় বেশি বলে মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এরই মধ্যে বলেছেন, ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন যতটা দেখেছি, তাতে এমনটাই মনে হচ্ছে।’

এদিকে উইলিয়াম ইভানিনা জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা মনে করে, ট্রাম্প আবার বিজয়ী হোক- এটা চায় না বেইজিং। এই বিষয়টিকেই সামনে আনতে চাইছে এখন ট্রাম্প প্রশাসন, যা উইলিয়াম বারের মন্তব্যে সুস্পষ্ট।

এই প্রেক্ষাপটে উইলিয়াম বারের এমন ইঙ্গিতকে ‘পুরোদস্তুর মিথ্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারপারসন অ্যাডাম শিফ।

অন্যদিকে প্রতি মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের খুটিনাটি বিষয়ের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ইরানের আগ্রহের অন্যতম প্রধান কারণ পরমাণু ইস্যু। হোয়াইট হাউসের মসনদে কে বসছে- তার ওপরই নির্ভর করছে ইরান পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ।

২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হাত ধরে চূড়ান্ত হওয়া আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিটিকে ‘বাজে’ অভিহিত করে এর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে চুক্তির পরে তুলে নেয়া সব নিষেধাজ্ঞাই ফের বহাল করেন।

আর এ কারণেই ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় না তেহরান। ফলে ইরানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই মার্কিন নির্বাচনের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে দেশটির নাগরিকেরা।