ইসরাইলে সরকারের পরিবর্তনকে ইতিবাচক ভাবছেনা ফিলিস্তিনিরা
ইসরাইলের সরকার পরিবর্তনকে প্রত্যাখান করলো পশ্চিম তীর এবং গাজার সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পরিবর্তে যেই ক্ষমতায় আসুক ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের আচরণ একই থাকবে। একইসঙ্গে তারা এই সরকারের এজেন্ডাগুলোই অনুসরণ করবে। যদিও চলমান যে অবস্থা তার বিপরীতে এসে ফিলিস্তিনিদের সাথে সহজ শর্তের প্রস্তাব দিয়েছেন বেনেট। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, তার সময়ে সংঘাত হ্রাসের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। হয়তো এ সমস্যা সমাধান হবে না কিন্তু এ অবস্থার উন্নতি করার বিষয়ে তিনি আÍবিশ্বাসী।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রতিনিধি বাশেম আল-সালহি বলেন, যে সরকার আসতে যাচ্ছে তিনিও নেতানিয়াহুর চেয়ে কঠোর কম না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে কতটা কঠোর তা তিনি অবশ্যই প্রমাণ করবেন। এদিকে গাজার নিয়ন্ত্রনে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ইসরাইলের সরকার যেই হোক তাতে বিদ্যমান অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, এখন পর্যন্ত ইসরাইলের অনেক সরকার পরিবর্তন হয়েছে। ডানপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থী অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু যখনই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টি সামনে এসেছে সবাই ফিলিস্তিন পরিপন্থী নীতিমালা সম্প্রসারিত করেছে। প্যালেস্টাইন ন্যাশনালিস্ট ব্যালেড পার্টির নেতা সামি আবু শাহাদে বলেন, নেতানিয়াহু এককভাবে কোন সমস্যা না বরং ইসরাইলের যে নীতিগুলো অনুসরণ করাই সমস্যা। ব্যক্তি নয় সমগ্র নীতি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নেতানিয়াহুর আগেও ভয়ানক অবস্থা ছিল আর ইসরাইল যদি একই পথে হাটে তাহলে পরবর্তীতেও এ অবস্থা থাকবে। আহমেদ রাজিক(২৯) নামে গাজার এক সরকারী কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ইসরাইলের এক নেতার সাথে অন্য নেতার কোন পার্থক্য নাই। তাদের ভালো খারাপ শুধু তাদের জাতির জন্য। যখনই আমাদের বিষয় আসে তারা সবাই খারাপ, ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে তারা সব সময়ই প্রত্যাখান করে।
ইয়ামিন পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট (৪৯) এবং ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়াইর লাপিড সহ আটটি ছোট বড়, ডান-বাম-মধ্যপন্থিদের নিয়ে একটা জোট গঠন করেছে। বুধবার রাতে ১২ বছর ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহুর বিপরীতে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন তার। এই জোটে আরব ইসলামিক পার্টিও যোগ দিয়েছে। আরব ইসলামিক পার্টির নেতা মানসুর আব্বাস আশা ব্যক্ত করেছেন, সরকারের অবহেলা এবং যে বৈষম্য ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সহ্য করতে হয় তা হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, সবার সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের অন্যতম কারণ যাতে ইসরাইলের রাজনৈতিক অঙ্গনে সমতাপূর্ণ পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। আব্বাস পার্টি জানায়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়গুলো এবং অবকাঠামো উন্নয়নে ৫৩ বিলিয়ন শেকেলের বেশি অর্থ দিবে বলে চুক্তিতে অন্তভর্’ক্ত হয়েছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনে বিনা অনুমতিতে গড়ে ওঠা বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নেগেভ মরুভ’মির বেদুইন শহরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা উল্লেখ করেছে।