দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দী কেন?

এডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস

এক.

যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের যুদ্ধ। দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ। বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী মেজর জিয়া ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে রনাঙ্গনে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে মুক্তি সংগ্রাম শুরু করে দিয়েছেন। ততকালীন পাকিস্তান উপনিবেশিক শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব কারাবরণ ও আত্মগোপন করায় অসীম সাহসে মেজর জিয়া দিকভ্রান্ত জাতিকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার ঘোষণা দেন। শুধু কি ঘোষণা? রণাঙ্গনে যুদ্ধের পরিকল্পনা, যুদ্ধের ট্রেনিং, অপারেশন- এক কথায় একটি অসম যুদ্ধকে জয়ী করতে যা যা করা দরকার তার সব কিছুই করেন মেজর জিয়া। অন্যদিকে সেই কঠিন সময়েও দেশ ছেড়ে পালাননি এই গৃহবধূ বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কি পারতেন না অন্য সবার মত করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে? পার্শ¦বর্তী কোনো দেশে! বুঝলাম সময় পাননি। সময় লাগবে কেন? সাধারণের মত করেও তো তিনি সস্তান দুটোকে নিয়ে নিজের মতো করে নিরাপদে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু যাননি এবং পালাননি। নিজের নিরাপত্তার খোঁজও করেননি। এটিকে আপনারা কি বলবেন?

দেশী বিদেশী চক্রান্তে জনপ্রিয় ষ্টেটম্যান প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করার পর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে।ষ্টেটম্যান জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর নয় বছরের এক সামরিক স্বৈরাচার চেপে বসে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায়। অন্যদিকে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে জনতার সংগ্রামও শুরু হয়। যা একেবারে সৈরাচার পতন আন্দোলনে গিয়ে শেষ হয়। তখনো বিএনপিকে ধরা হতো এক রকম এলিটদের সংগঠন। গ্রাম-গঞ্জে ওভাবে সংগঠিত হয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি তখনো। এই শূন্যতাটা অনুভব করলেন বিধবা এক গৃহবধু। ছাত্রদল থেকে বিএনপি, সারা দেশ চষে বেড়িয়ে সংগঠনটাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করালেন তিনি।এমনভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি, স্বৈরাচারের তক্তোথাউস তছনছ করে ছাড়লেন। সঙ্গের অনেকেই লোভ-লালসায় পড়ে পক্ষ ত্যাগ করল, স্বৈরাচারের দোসরে পরিনত হলো।অথচ কোন লোভ-লালসাই এই গৃহবধূটিকে তার কর্তব্য থেকে এতটুকু টলাতে পারল না। দেশের মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বরে পরিনত হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের জনগণ ভালোবেসে তাকে আপোষহীন দেশনেত্রী নামে ডাকে।

দুই.

অল্পদিনেই এদেশের মানুষ ম্যাডামকে চিনে ফেললেন।স্বৈরাচারের পতনের পর অবাধ ও নিরপেক্ষ এক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগন তাঁর হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দিলেন।শুরু হলো সদ্য ভুমিষ্ঠ গনতন্ত্রকে এগিয় নেওয়ার সফল যাত্রা।সাধারণ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মানুষের মধ্য থেকে নেতৃত্ব উঠে আসল।তারা দেশের নীতি নির্ধারক হয়ে গেলো। খেয়াল করুন-এর আগে কিন্তু দেশ চালিয়েছে- হয় মিলিটারি, না হয় এলিট একটি শ্রেণী। সেই জায়গার দখল এখন সাধারণ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের হাতে, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের নীতি নির্ধারক। তার মানে মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে দপ্তর, অধিদপ্তর চলছে জনতার কথায় আর তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যথারীতি ম্যাডাম খালেদা জিয়া। জনগণের রাষ্ট্রের মালিকানা পেল জনগণ।

১৯৯৬ সাল। বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় কিন্তু বিরোধীরা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্হা চায়।সংসদে বিল পাশ করতে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাগবে। একমাসের মধ্যে একটা নতুন নির্বাচন হলো,সেই সংসদে তত্ত্বাবধায়কের বিল পাশ করে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবার ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। আজকের মতো করে তিনি ভাবেননি,দুই তৃতীয়াংশ নিয়ে আবার এসেছি, বছর পাঁচেক থেকেই যাই। ইচ্ছা করলে অসম্ভব ছিলো না, তিনি এমন ইচ্ছাই করেন নি, করতে পারেন নি। ভেবে দেখুন,কয়েক দিন আগে যিনি দেশ চালালেন, তিনি আবার ক্ষমতায় আসার চোরাগলি না খুঁজে, সবার সাথে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধী দলের দাবী মেনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাশ করে, নির্ধারিত তারিখে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন।এটা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারনে।তিনি গণমানুষের কন্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিয়েই রাজনীতি করেন।মানুষের জন্যই তাঁর জীবন, রাজনীতি ও পথচলা।

তিন.

ওয়ান ইলেভেনের সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল বারী ছিলেন ডিজিএফআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক।সেই সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দূর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান, জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলা দায়েরের মতো গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করতেন এই ফজলুল বারী।কয়েকদিন আগে এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে দেখলাম সে সময়ের মামলাগুলো তৈরির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করছিলো সে।বিবেকের তাড়নায় বলেই ফেললো- নিয়মতান্ত্রিক অভিযোগ ও সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার নামে কয়েকটি মামলা হয়ে গেলো। কিন্তু ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নামে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলো না। মামলার অগ্রগতি মূল্যায়নে সিদ্ধান্ত হলো,এক নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হলে সরকার বেকায়দায় পড়বে, নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, উভয়েরই দূর্নীতি খুঁজে বের করা দরকার, উভয়ের নামেই মামলা হওয়া দরকার। উপস্থিত সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলিরও একই মত। তারপর গোজামিল দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নামে মামলা তৈরী করা হলো। প্রথম মামলাটি হলো জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট দূর্নীতি ওপর, যার অযুহাতে তিনি এখন জেলে। খেয়াল করুন, যার হাতে মামলাটি তৈরী, সে স্বীকার করছে, এটি একটি বানোয়াট মামলা। ব্রিগেডিয়ার বারী আরো বলছে, ম্যাডাম জিয়া সেদিন বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলে, শেখ হাসিনাও আর দেশে ফিরে আসতেন না।চিকিৎসার নাম করে বিদেশে যাওয়ার আগে এরকমই কথা হয়েছিলো শেখ হাসিনার সাথে। ম্যাডাম জিয়া গেলেন না, এই সাহসে, রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য হলেও ঐ নেত্রী তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে এলেন।হিসেব করে দেখলাম, এক হাজার নয়শ ঊনষাট দিন,এক হাজার নয়শ ঊনষাট রাত যাবত চার দেয়ালের মধ্যে আটকে আছেন বয়োবৃদ্ধ মহীয়সী এই নারী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এক নেত্রী ভেতরে, আরেক জন বাইরে থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে এজন্য বানানো একটি মামলার কারণে। কিভাবে? দেশের আইন-আদালতে যুগযুগ ধরে গড়েওঠা জামিনের রেওয়াজ ভেঙ্গে, বিচারের নামে তামাশা করে।

চার.

এ পর্বের লেখাটি শেষ করব একটা ঘটনা দিয়ে। স্বামীর স্মৃতিবিজোরির মইনুল রোডের বাসা থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার পর খালেদা জিয়া ভাড়াবাসা ফিরোজায় এসে উঠলেন। দুইতলার দক্ষিণ বারান্দা সেখানে প্রায়ই চুপচাপ বসে থাকতেন তিনি।মনে হতো স্বামীর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি ছেড়ে, সন্তান সন্তোতি থেকে দূরে, এই জন্য মন খারাপ হয়তো! একদিন বিকেলে, বাসাভাড়া সংক্রান্ত একটা কাজের ফাঁকে বললাম ম্যাডাম, আপনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, অথচ আপনার একটা নিজস্ব বাড়ি নাই। ভেবেছিলাম ছেড়ে আসা বাড়ির স্মৃতিচারন করবেন তিনি।অথবা আমার কথায় সায় দিয়ে কিছু একটা বলবেন। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সেদিন তিনি বলেছিলেন-“এতটুকু একটা দেশ, এটাই তো আমার বাড়ি, এদেশের মানুষই তো আমার পরিবার। দেখোনা, যে এলাকায় যাই, সেই এলাকাটাই কেমন করে আমার হয়ে যায়, যে রাস্তায় দাড়াই, সেখানেই লাখো মানুষ এসে জড়ো হয়, যা চাই, তাই তারা আমাকে দিয়ে দেয়!” বিষ্মৃত হয়ে গেলাম, আর একটি কথাও না বলে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম।

এই মহীয়সি নারীই নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ডেকে এনেছিলেন। তাঁর হাত ধরে প্রথম এদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র, অবাধ ভোট এসেছিলো। তিনি নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছিলেন, চালু করে ছিলেন উপবৃত্তি, বিনা মূল্যে বই দিয়েছিলেন, নারী অধিকারের নেত্রীরাও এতোটা ভাবেনি তখন। খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, এটিও ছিলো একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক দ্বায়িত্ব পালন কালে সমালোচিত হওয়ার মতো একটা কথাও তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উচ্চারণ করেন নি। এটাই বেগম খালেদা জিয়া। এটাই আপোষহীন দেশনেত্রী।

পাঁচ.

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর নাম এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকে বিএনপিতে অনেক উত্থান পতন হলেও ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা কখনোই কমেনি।এখনও না। অথচ তিনি আজ ইতিহাসের চরমতম নিষ্ঠুরতার স্বীকার। দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রে ২০১৮ সালের ৮’ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ায় ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের সেন্ট্রাল জেলের নির্জন প্রকৌষ্ঠে কারাবন্দী থেকে এখন অবধি গৃহবন্দী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক ট্র্যাজিক রাজনীতিবিদের নাম বেগম খালেদা জিয়া। শের আফগান ও মেহেরুন্নেসার পরবর্তীতে নূরজাহানের জীবনীকেও হার মানায় বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কাহিনী। অথচ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী। তিনি সার্ক এর প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী। তিনি নিজে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।তিনি দুইবার সংসদের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী।তিনি বাংলাদেশের প্রথম ফাস্টলেডি।
তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।তিনি মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। স্বামী প্রেসিডেন্ট আর স্ত্রী অর্থাৎ তিনি জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী, এই রের্কড বাংলাদেশে আর কারো নেই। যিনি ৯১,৯৬ ও ২০০১ সালে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে(সিটে) দাঁড়িয়েছেন এবং প্রতিবার পাঁচটিতেই জিতেছেন! হারার রেকর্ড নেই। আছে জয়ের হিমালয়সম ইতিহাস।

প্রেক্ষাপট ২০০৮ সালে মিলিটারী ব্যাক মঈনুদ্দিন ফকরুদ্দিন সরকার বেগম জিয়াকে টার্গেট করে পাঁচ সিটে ভোটে দাঁড়ানোর বিধান বদলে সর্বোচ্চ তিন সিটে দাঁড়ানোর আইন করলে বেগম জিয়া তিন সিটে দাঁড়ান এবং তিন সিটে জয়লাভ করেন। যিনি আপোষহীন দেশনেত্রী।জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আপোষ কাকে বলে সে শব্দ যার অভিধানে নেই।
জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীনতার রেকর্ড বেগম জিয়া, শহীদ জিয়া ও মওলানা ভাসানী ছাড়া আর কারো নেই।আভিজাত্যের ছোঁয়ায় লালিত হয়েও যিনি অতি সাধারণ। ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সব সময়ই তুঙ্গে, যার ধারে কাছে এখনো কেউ যেতে পারেনি, ব্যতিক্রম একমাত্র শহীদ জিয়া।
তিনিই বাংলাদেশে একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী যিনি চার চার বার বন্দি হয়েছেন।একবার পাকিস্তান সরকার, দ্বিতীয়বার জেনারেল এরশাদ সরকার, তৃতীয়বার মিলিটারী ব্যাক মঈনুদ্দিন/ফখরুদ্দিন সরকার ও চতুর্থবার শেখ হাসিনার সরকার। ২০১৫ সালের গনতন্ত্র পূনরুদ্ধার আন্দোলন কালে আলোচিত ও সমালোচিত বালুর ট্রাক দ্বারা বন্দিত্ব জীবনের রেকর্ডটিও বেগম জিয়ার। ম্যাডাম থেকে ‘মা’ হতে পারার রেকর্ডটিও বেগম খালেদা জিয়ার দখলে।
জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করার অপরাধে স্বামীর স্মৃতি বিজোরিত মইনুল রোডের বাস্তভিটা থেকে বিতাড়িত, বিনা অপরাধে কারাদন্ড ও শাস্তিভোগ, অল্পবয়সে বৈধব্যবরণ স্বত্বেও মাথানত করেনি। দৃঢচিত্তে স্বার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে ধারন করার কারনে আজও যিনি সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত। আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ’এর ভাষায় এশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা “বেগম খালেদা জিয়া”।

ছয়.

ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী দেড় দশক পার হয়ে গেলো, এই মহীয়সী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও গৃহবন্দী! কিন্তু কেন? সব সত্য জেনে শুনে আমরাও আজ পরিস্থিতির কাছে অসহায় ও নিরব! কিন্তু ম্যাডামের আবেদন এদেশের মানুষের কাছে চিরঅম্লান। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ এক সরকারী আদেশে ফিরোজায় নিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। ম্যাডাম জিয়ার মুক্তির সাথে জড়িয়ে গেছে এদেশের ভাগ্যহত মানুষের মুক্তি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই হবে বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের নবসূচনা।

লেখক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী।