যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মীকস বক্তব্য ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা : নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের ওপর দেওয়া হয়েছে
বাংলাদেশী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডবিøউ মীকস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মানবচাধিকার লঙ্ঘন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর। স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি রেস্তোরাঁয় একটি তহবিল সংগ্রহের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কংগ্রেসম্যান মীকস একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক থেকে মার্কিন প্রতিনিধি ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির উপর আরোপ করা হয়েছিল, পুরো সংস্থার উপর নয়। সারা বিশ্বের ১১টি দেশের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন গনতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ পেয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আগত আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার কথা হয়েছ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন বলে উল্লেখ করেন মীকস। বাংলাদেশের আরও কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে জোরালোভাবে লবিং করছে এমন একটি নিহিত ত্রৈমাসিক সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান। তিনি বলেন,”আমরা তাদের কথা অনুযায়ী এটি করব না, এটা সম্ভব নয় এবং আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেব। মীকস জানান, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় দেখতে তিনি এ বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। ‘তার আগে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক কংগ্রেস সাব-কমিটির সাথে কথা বলবেন। প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেসে শুনানির ব্যবস্থাও করবেন। তার ভোটারদের সহানুভূতিশীল এবং দৃঢ় প্রতিনিধিত্ব এবং তার জোট-নির্মাণ দক্ষতার জন্য পরিচিত চেয়ারম্যান মীকস গর্বিতভাবে নিউ ইয়র্কের পঞ্চম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের সদস্যদের পরিবেশন করেন। যা বাংলাদেশি আমেরিকানদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করবে। এদিকে, তহবিল সংগ্রহের মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সাজাপ্রাপ্ত খুনী রাশেদ চৌধুরী ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান খাঁনের যুক্তরাস্ট্র থেকে বহিঃস্কারের দাবি জানান কংগ্রেসম্যান মীকসের কাছে। তিনি বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।