ডা. জোবায়দা রহমান মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত গড়লেন

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে স্বল্প ও নিম্নআয়ের পরিবার গুলোতে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে । এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে দৃশ্যমান কোনো ত্রাণ বিতরণ বা খাদ্য সহায়তা দেয়া না হলেও গুদামে গুদামে ত্রাণের চালসহ ধরা পড়ছে আওয়ামী লীগের নেতারা। দুনিয়াব্যাপী এ বিপদের সময়েও অসহায়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে চাল চোরের দল ।

দেশের মানুষের এই দুঃসময়ে বরাবরের মতো মহানুভবতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান ।

রিয়ার এডমিরাল (অব:) মাহাবুব আলী খানের সুযোগ্য উত্তরসূরি ডা. জোবায়দা রহমান লন্ডনে অবস্থান করলেও দেশের এই ক্রান্তিকালে, পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। জোবায়দা রহমানের এই মহতি উদ্যোগের প্রথম পর্যায়ে প্রায় বারো শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে । দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির পর তাঁর চিকিৎসার সবকিছু তদারকি করছেন ডা. জোবায়দা রহমান। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদেরকে নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

জোবায়দা রহমান লন্ডনের বিখ্যাত ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। তাঁর পরিবার সবসময়েই দুঃখী-অসহায় মানুষের পাশে থাকে। জোবায়দা রহমানের বাবা মাহাবুব আলী খান আমৃত্যু জনগণের সেবা করে গেছেন। সিলেট তথা বাংলাদেশের মাটির প্রতিটি কণার সাথে তাঁর দেশপ্রেম ও মহানুভবতা মিশে আছে। তাঁর মাতা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানু বাংলাদেশের ছিন্নমূল শিশু ও মহিলাদের উন্নয়নে গড়ে তুলেছেন ‘সুরভি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে দুঃস্থ ও ছিন্নমূল শিশুদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে স্বাবলম্বী করে তোলা হয় । তাঁর উদ্যোগে ঢাকাতে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান করোনা ভাইরাস জনিত কারণে অসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন । তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা যে যার অবস্থানে থেকে সাধ্যমত বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছেন ।